জাতিসংঘে আব্বাসের অভিযোগ: গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ

আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৯:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-০৯-২০২৫ ০৯:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অভিযোগ করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে প্রায় অকার্যকর করে তুলছে।
 

বৃহস্পতিবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেন ৮৯ বছর বয়সী আব্বাস। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা না দেওয়ায় তিনি সরাসরি নিউইয়র্কে উপস্থিত হতে পারেননি। ভাষণে তিনি ইসরায়েলকে ‘ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ করার অভিযোগ আনেন এবং বলেন, দুই বছর ধরে গাজায় ফিলিস্তিনিরা গণহত্যা, ধ্বংস, ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার হচ্ছেন।
 

আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে অন্তত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক লাশ চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত ও প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
 

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে ইসরায়েল গাজায় বেসামরিক অবকাঠামো পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও কবরস্থান। এর আগে আরেকটি তদন্তে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
 

ভাষণে আব্বাস হামাসেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের বেসামরিক হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ফিলিস্তিনি জনগণ বা তাদের রাষ্ট্রগঠনের সংগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করে না। ভবিষ্যতে হামাস শাসন ব্যবস্থায় কোনো ভূমিকা পাবে না এবং রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ায় অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদেরও অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।
 

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আব্বাস বলেন, চরমপন্থি সরকার অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধ্যমে দখলদারত্ব বাড়াচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার প্রকাশ্য লঙ্ঘন। তিনি উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনিরা দশকের পর দশক হত্যা, গ্রেফতার, বসতি স্থাপন ও জমি দখলের শিকার হচ্ছেন।
 

ভাষণের শেষাংশে আব্বাস যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি, বন্দি বিনিময় ও গাজার জনগণের ভূমিতে টিকে থাকার নিশ্চয়তা দাবি করেন। তিনি বলেন, “যত রক্তই ঝরুক, আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছা কখনও শেষ হবে না।”

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]