বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় শরণার্থীদের ব্যাপক প্রত্যাবর্তন ঘটছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ শরণার্থী দেশে ফিরে এসেছেন। তবে মানবিক কার্যক্রমের তহবিল সংকট নিয়ে উদ্বেগও জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, নয় মাসে দেশে ফেরা এই শরণার্থীরা দীর্ঘদিনের বাস্তুচ্যুত জীবনের অবসান ঘটাতে চাইছেন। একই সময়ে আরও ১৮ লাখ মানুষ সিরিয়ার অভ্যন্তরে নিজেদের আদি এলাকায় ফিরে গেছেন।
২০১১ সালে আরব বসন্তের অংশ হিসেবে শুরু হওয়া সিরিয়ার আন্দোলন দমন ও গৃহযুদ্ধের ফলে যুদ্ধপূর্ব ১ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হন। এখনো দেশের ভেতরে ৭০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছেন এবং ৪৫ লাখের বেশি মানুষ বিদেশে শরণার্থী হিসেবে জীবনযাপন করছেন।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ফিরে আসা শরণার্থীদের জন্য ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো, ক্ষতিগ্রস্ত মৌলিক সেবা, কর্মসংস্থানের অভাব এবং অনিশ্চিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সিরীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হলেও জীবনের পুনর্গঠনে তাদের আরও সহায়তা প্রয়োজন।
সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সিরিয়ার পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য বাড়তি বিনিয়োগ এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।