
বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন তাদের কাছে থাকা ১১ কোটিরও বেশি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের কাগুজে কপি ধ্বংসের অনুমতি চেয়েছে। অপারেটর দুটি জানিয়েছে, এসব তথ্য ইতোমধ্যে ডিজিটালি সংরক্ষণ করা হয়েছে, ফলে হার্ডকপি রাখায় বাড়তি খরচ ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কাছে কাগুজে নথি ধ্বংসের আবেদন করেছে তারা, যদিও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকের নাম, জন্মতারিখ, এনআইডিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য কাগজের ফরমে সংগ্রহ করত। ২০১৮ সালের আগস্টে নতুন নির্দেশনা আসার পর থেকে এই তথ্য ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা শুরু হয়। ডিজিটাল আর্কাইভ সম্পন্ন হওয়ার পর অপারেটররা কাগুজে নথির প্রয়োজনীয়তা আর দেখছে না।
বাংলালিংক জানিয়েছে, তাদের কাছে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭ কোটি ১০ লাখের বেশি গ্রাহকের কাগুজে নথি আছে, যার মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৯৪ লাখ কপি ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত। কোম্পানিটির করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রধান তাইমুর রহমান বলেন, এসব নথি সংরক্ষণে প্রায় এক লাখ বাক্স একটি গুদামে রাখতে হচ্ছে, অথচ সব তথ্যের সফট কপি রয়েছে।
অন্যদিকে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, তাদের কাছে মোট ২১ কোটির বেশি কাগুজে কপি আছে, যার মধ্যে ৮ কোটির বেশি ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত। প্রতিষ্ঠানটির রেগুলেটরি ম্যানেজমেন্ট প্রধান ইমতিয়াজ শফিক বলেন, এই নথি সংরক্ষণে অর্ধেক ফুটবল মাঠের সমান জায়গা লাগছে এবং যেহেতু স্ক্যান কপি সংরক্ষিত আছে, কাগজগুলো পুনর্ব্যবহার (রিসাইক্লিং) সম্ভব।
বিটিআরসি জানিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এসব ফাইল পুনঃনিরীক্ষণ করা হবে। বর্তমানে দেশে চারটি মোবাইল অপারেটর মিলে প্রায় ১৮ কোটি ৮৮ লাখ গ্রাহককে ভয়েস ও ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।