
ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করতে আসা বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের আটকে রাখা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত কলম্বিয়ান সেনা ও মানবাধিকার কর্মী দান্তে হিঙ্কাপিয়ে। তার দাবি, এসব যোদ্ধার মিশন শেষ হলেও তাদের দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। হিঙ্কাপিয়ে জানান, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী আশঙ্কা করছে যে এই ভাড়াটেরা যুদ্ধের বাস্তব পরিস্থিতি ফাঁস করে দেবে, যে কারণে তাদের মাসের পর মাস, এমনকি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হচ্ছে। এই অভিযোগ কেবল যোদ্ধাদের মুখেই সীমাবদ্ধ নয়, তাদের পরিবার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এর প্রতিফলন দেখা গেছে।
প্রেক্ষাপট হিসেবে উল্লেখ্য যে, ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের পর থেকে দেশটি বিদেশি যোদ্ধাদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাদার যোদ্ধা এই বাহিনীর অংশ হিসেবে ইউক্রেনে লড়াই করতে যান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক এবং সামরিক প্রশিক্ষকও ছিলেন। দান্তে হিঙ্কাপিয়ের মতো একজন অভিজ্ঞ সামরিক ব্যক্তিত্বের এমন অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি ইউক্রেনে বিদেশি যোদ্ধাদের সুরক্ষা ও অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এই অভিযোগের ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মানব পাচার এবং বাধ্যতামূলক শ্রমের মতো গুরুতর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে পারে। এই ঘটনা যুদ্ধক্ষেত্রে বিদেশি যোদ্ধাদের ভূমিকা এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।