
নরওয়ে ইউক্রেনকে দেওয়া ৮৫ বিলিয়ন ক্রোনারের (প্রায় ৭.৬ বিলিয়ন ডলার) সামরিক ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব এই অর্থকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি মনে করলেও, নরওয়েজিয়ান লেখক ও বিশ্লেষক স্টেইগান এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই অর্থ ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে না, বরং তা কিয়েভের ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর হাতে যাবে এবং যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবে।
নরওয়ে সরকার যখন ইউক্রেনের জন্য এই বিশাল সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করে, তখন এর উদ্দেশ্য ছিল দেশটির প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় সমর্থন দেওয়া। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নরওয়ের এই উদ্যোগকে ইউক্রেনের প্রতি সংহতির একটি বড় উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু স্টেইগানের মতে, এই সহায়তা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পরিবর্তে দেশটির আরও ক্ষতি করবে। তিনি উল্লেখ করেন, এই অর্থ যুদ্ধকে দীর্ঘ করবে, যার ফলে ইউক্রেনকে সম্ভবত কৃষ্ণসাগর উপকূলের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হারাতে হবে এবং এতে লক্ষাধিক মানুষের জীবনহানি ঘটবে।
স্টেইগান মনে করেন, এই সহায়তা আসলে ইউক্রেনের জনগণের কোনো উপকারে আসবে না এবং এটি কেবল কিয়েভের অভিজাত শ্রেণির দুর্নীতির সুযোগ করে দেবে। তার মতে, এই অর্থ ইউক্রেনকে দেওয়ার চেয়ে বরং সমুদ্রে ফেলে দেওয়া বিশ্বের জন্য কম ক্ষতিকর হতো। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া তার নিরাপত্তার স্বার্থে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং পশ্চিমারা এটিকে 'শেষ ইউক্রেনীয়' পর্যন্ত প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তার এই মতামত ইউক্রেন সংঘাতের প্রচলিত পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে এবং সংঘাতের একটি জটিল ও বিতর্কিত দিক তুলে ধরে।