
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শিগগিরই এ ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রসঙ্গে ব্রিটিশ অবস্থানের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন অধ্যায় তৈরি করতে পারে।
গত জুলাইয়ে স্টারমার বলেছিলেন, ইসরাইল যদি যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে না চলে এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি আলোচনায় অগ্রসর না হয়, তবে যুক্তরাজ্য নিজেদের নীতি পুনর্বিবেচনা করবে। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় লন্ডন এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এ সিদ্ধান্তে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণকেও বড় কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ বসতিগুলো অবৈধ বলে স্বীকৃত।
তবে যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তে ইসরাইল জোরালো আপত্তি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এটিকে ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার সমতুল্য’ বলে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন জিম্মি পরিবারের সদস্যরা ও ক্ষমতাসীনদের রক্ষণশীল অংশ। অন্যদিকে লন্ডনের যুক্তি, দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রক্রিয়ার আশা বজায় রাখা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
ইতোমধ্যে ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল ও লুক্সেমবার্গ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান এবং এটিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।