
কুরআনুল কারীম হলো আল্লাহর কালাম, মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম হিদায়াত। প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করা একজন মুমিনের জন্য শুধু ইবাদতই নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আলো ও প্রশান্তি এনে দেয়।
কুরআন পড়ার গুরুত্ব-
> কুরআন হলো সঠিক পথের দিশারি।
> নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করলে হৃদয় পরিশুদ্ধ হয়, গোনাহ মাফ হয়।
> দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
“নিশ্চয়ই এই কুরআন সে পথ প্রদর্শন করে, যা সবচেয়ে সঠিক; এবং মুমিনদের জন্য সুসংবাদ দেয় যারা সৎকর্ম করে যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।”
(সূরা আল-ইসরা, ১৭:৯)
“আর আমি কুরআনকে সহজ করেছি স্মরণের জন্য; অতএব কেউ কি আছে স্মরণ করার?”
(সূরা ক্বামার, ৫৪:১৭)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শেখে এবং শেখায়।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০২৭)
তিনি ﷺ আরও বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর পাঠ করে, তার জন্য একটি নেকি হবে। আর প্রতিটি নেকি দশগুণ বৃদ্ধি পাবে। আমি বলছি না ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি অক্ষর; বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর।”
(সুনান তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
প্রতিদিন কুরআন পড়ার উপকারিতা -
১) অন্তরে প্রশান্তি ও সুকোমলতা আসে।
২) দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি ও হৃদয়ে শক্তি তৈরি হয়।
৩) আল্লাহর রহমত ও ফেরেশতাদের দোয়া লাভ হয়।
৪) কিয়ামতের দিনে কুরআন পাঠককে সুপারিশ করবে।
তাই আসুন, প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় বের করি কুরআন তিলাওয়াতের জন্য। অল্প হলেও নিয়মিত পড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ধীরে ধীরে এর মাধ্যমে আমাদের অন্তর আলোকিত হবে এবং আখিরাতে আমরা এর বরকতে সফলকাম হবো ইন শা আল্লাহ।