
বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে সরকার ঘন ঘন পরিবর্তনের শঙ্কা অমূলক; বরং এ পদ্ধতিতে জনপ্রিয় প্রার্থীদের সংসদে যাওয়ার সম্ভাবনাই বাড়বে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরিশাল নগরের টাউন হল চত্বরে জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচি হয়। নগর সভাপতি প্রফেসর মো. লোকমান হাকীমের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি মাওলানা আবুল খায়ের এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিছিলে বক্তারা পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেন।
তাঁরা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে ভোটাররা ব্যক্তিকে নয়, দলকে ভোট দেন। এ কারণে অনেকেই মনে করেন, ভোটাররা জানবেন না তাঁদের আসনে কে এমপি হবেন। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি দল আগেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করে রাখে, ফলে জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বক্তারা যুক্তি দেন, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হওয়া আর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা একই বিষয় নয়। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা ইতালির কথা উল্লেখ করেন, যেখানে সরকার বারবার পরিবর্তন হলেও দেশ রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল। অন্যদিকে বাংলাদেশে ১৯৮১ সাল থেকে সরকার প্রায় পূর্ণমেয়াদে ক্ষমতায় থেকেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পায়নি।
বক্তারা আরও বলেন, যারা কম ভোটে (৩৩%-৪৮%) প্রায় শতভাগ ক্ষমতা ভোগের সুবিধা চায় তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। তাঁরা দাবি করেন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, পেশিশক্তির রাজনীতি ও দেশের সম্পদ পাচারের সঙ্গে জড়িত মহলই পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে কথা বলে। বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে বাস্তবায়ন ও স্বৈরতন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতে পিআর পদ্ধতি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।
কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা সৈয়দ নাছির আহমাদ কাওছার, মাওলানা শেখ শামসুল আলম মিলন, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা জামিলুর রহমান, মাওলানা আজিজুল হক, মুফতি নাসির উদ্দিন নাইস, এইচ এম হাসানুজ্জামান মিরাজ, মাওলানা শরীফ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন।