আফগানিস্তানে মামুনুল হকের আকস্মিক সফর: উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন

আপলোড সময় : ১৯-০৯-২০২৫ ০৯:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৯-২০২৫ ০৯:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে গেছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও ছয়জন আলেম। বুধবার সকালে তারা কাবুলে পৌঁছান। সফরটি ঘিরে উদ্দেশ্য ও সময় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
 

খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার বা ‘ইমারাতে ইসলামিয়া’র আমন্ত্রণে প্রতিনিধি দলটি সেখানে গেছে। সফরকালে তারা তালেবান সরকারের প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বিশেষভাবে মানবাধিকার ও নারী অধিকারের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করাই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে দলটির দাবি।
 

দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, “অনেক সময় নারীর অধিকার প্রশ্নে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পশ্চিমা দেশগুলো নেতিবাচক প্রচার চালায়। তাই বাস্তব চিত্র দেখতে আলেম সমাজের পক্ষ থেকে সফরটি হয়েছে।”
 

তবে এ সময় ঢাকায় খেলাফত মজলিসের ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। এ অবস্থায় দলের প্রধানের বিদেশ সফরকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অস্বাভাবিক ও নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার আফগানিস্তান সফরের এটি প্রথম ঘটনা।
 

জানা গেছে, সফরে মামুনুল হকের সঙ্গে রয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী এবং মাওলানা মাহবুবুর রহমান। তারা সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে দুবাই হয়ে কাবুল পৌঁছান।
 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, তালেবান শাসনের বাস্তবতা বোঝার মাধ্যমে ‘ইসলামী শাসনের মডেল’ সম্পর্কে ধারণা নেওয়াই সফরের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হতে পারে। তবে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে এ ধরনের ধারণা উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, এটি আলেম সমাজের ব্যক্তিগত উদ্যোগ, রাজনৈতিক সফর নয়।

সূত্র: বিবিসি

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]