
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করা হয়েছে। এটি প্রথম চালান হিসেবে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঠানো হয়। এ রফতানিতে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান—ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল—বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করেছে। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সততা ফিশ ৩.৬ মেট্রিক টন, তানিশা এন্টারপ্রাইজ ১.৪ মেট্রিক টন, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ ১২.২ মেট্রিক টন, লাকী ট্রেডিং ১৬.৮ মেট্রিক টন এবং স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ ৪ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করেছে।
রফতানিকারক সাইফুর রহমান জানান, কোম্পানির ইলিশ মানসম্মতভাবে সংরক্ষণ ও প্যাকেজিং করে ভারতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা সবসময়ই বেশি এবং সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোট ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমোদন ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠান ৩০ টন করে (মোট ৭৫০ টন), ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে (মোট ৩৬০ টন) এবং দুটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন করে (মোট ৪০ টন) ইলিশ রফতানি করতে পারবে।
বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন অফিসার সজীব সাহা জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে রফতানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। প্রতিকেজি ইলিশের রফতানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২.৫ মার্কিন ডলার।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শমীম হোসেন বলেন, “আজকের ইলিশ রফতানি বাংলাদেশের মৎস্য খাতের জন্য বড় সাফল্য। এটি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মৎস্য খাতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।”