
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে একটি নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সূত্রগুলো বলছে, চুক্তি হলে দামেস্ক আশা করছে ইসরাইল সাম্প্রতিক দখল অভিযান বন্ধ করবে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি চুক্তি নয়, বরং আংশিক সমঝোতার উদ্যোগ।
রয়টার্সকে দেওয়া চারটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ওয়াশিংটন এ মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় কোনো অগ্রগতির ঘোষণা দিতে চায়। বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সাফল্যের দাবিদার হতে আগ্রহী বলেও তারা উল্লেখ করেছেন।
সূত্র জানায়, সিরিয়ার মূল লক্ষ্য হলো দখলকৃত এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী অসামরিক বাফার জোন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশটির অভ্যন্তরে বিমান হামলা ও স্থল অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। তবে গোলান মালভূমির প্রশ্নটি আপাতত আলোচনার বাইরে রাখা হচ্ছে, যা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল দখল করেছিল।
১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিরিয়া ও ইসরাইল একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে, যদিও সময় সময় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। এখনো সিরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি।
একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তিনি চান, মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে বড় ধরনের সাফল্যের নায়ক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে।” তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়া কৌশলগত মন্ত্রী রন ডার্মারের দপ্তর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।