ইসলামে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত: সাক্ষী, ইজাব ও কবুলের বিধান

আপলোড সময় : ১৭-০৯-২০২৫ ১০:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৭-০৯-২০২৫ ১০:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন

নারী-পুরুষের মধ্যে স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকলেও ইসলাম সেই সম্পর্ককে বৈধ করার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বিয়েকে নির্ধারণ করেছে। তবে বিয়ে শুধুমাত্র একটি সামাজিক প্রথা নয়; বরং এটি ইসলামী শরিয়তের নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন হতে হয়। এসব শর্ত পূরণ না হলে বিয়ে শুদ্ধ হয় না।

ইসলামী বিধান অনুযায়ী, বিয়ের আকদ বা চুক্তি বৈধ হওয়ার জন্য অন্তত দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি জরুরি। হাদিসে এসেছে— “অভিভাবক ও দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়া বিয়ে হয় না।” (সহিহ ইবনে হিব্বান)

তবে সাক্ষী নির্দিষ্ট করে মনোনীত করাই একমাত্র শর্ত নয়। যদি মসজিদ বা জনসমাগমে পাত্র-পাত্রীর ইজাব (প্রস্তাব) ও কবুল (গ্রহণ) সম্পন্ন হয় এবং উপস্থিত মানুষজন তা প্রত্যক্ষ করে, তবে তারাও সাক্ষী হিসেবে গণ্য হবেন।

বিয়ের মূল দুটি উপাদান হলো— ইজাব (প্রস্তাব) এবং কবুল (গ্রহণ)। সাধারণত কনের পক্ষ থেকে অভিভাবক ইজাব করেন এবং বর কবুল করেন। যদি কনের অভিভাবক তার সম্মতিসহ দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে প্রস্তাব দেন এবং বর স্পষ্টভাবে ‘কবুল করলাম’ বলেন, তবে সেই বিয়ে শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ হবে।

এভাবে দেখা যায়, ইসলামে বিয়ে শুধু সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, বরং সুনির্দিষ্ট নিয়মে পরিচালিত একটি চুক্তি। তাই বৈধ ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপনে ইসলামী নীতিমালা মেনে চলাই মুসলিম সমাজে বিয়ের মূল ভিত্তি।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]