
প্রায় দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমস তাদের সদ্য প্রকাশিত প্রামাণ্যচিত্রে জানিয়েছে, হাসিনা সরকারের ১৫ বছরে দেশ থেকে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে।
ডকুমেন্টারির শিরোনাম “Bangladesh's Missing Billions, Stolen in Plain Sight”। এতে বলা হয়, লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার হয়েছে ওভার-আন্ডার ইনভয়েসিং, হুন্ডি এবং বিদেশে সম্পত্তি কেনাবেচার মাধ্যমে। চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার পরিবারের বিদেশি সম্পদ সম্পর্কিত অভিযোগও পর্যালোচনা করা হয়।
জুলাই মাসের গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এ প্রামাণ্যচিত্রে অংশ নেন ছাত্রনেত্রী রাফিয়া রেহনুমা হৃদি ও রেজওয়ান আহমেদ রিফাদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। তারা প্রশ্ন তোলেন—এত বিপুল অর্থ কীভাবে পাচার হলো এবং আদৌ তা ফেরত আনা সম্ভব কি না।
এফটির তথ্যমতে, পাচার হওয়া অর্থের বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী অভিজাতদের সম্পৃক্ততার বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও ব্রিটিশ এমপি তুলিপ সিদ্দিকের নামও উল্লেখ করা হয়, যদিও তিনি অভিযোগগুলো “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রের শেষ অংশে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় হলো, আমরা হয়তো আমাদের শহীদদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব না।”