
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের উদ্যোগ নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কিছু ইসলামী দল ও সমমনা সংগঠন। এরই অংশ হিসেবে রোববার পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও নেজামে ইসলাম পার্টি সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান ও দাবিগুলো প্রকাশ করবে। তবে এনসিপি, এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ যুগপৎ কর্মসূচি বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
শনিবার খেলাফত মজলিসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমমনা আটটি দলের আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিটি দল নিজ নিজ উদ্যোগে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করবে। সে ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল ১১টায় দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হকের নেতৃত্বে ঢাকার পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলন হবে। এখানে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ, আসন্ন নির্বাচনে উচ্চকক্ষে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টিসহ চার দফা দাবি তুলে ধরা হবে। মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের মতে, মূলত সোমবার একযোগে কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল, তবে আমিরের ব্যস্ততার কারণে খেলাফত মজলিস একদিন আগেই তা করছে।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সোমবার রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি জানানো হবে। একইদিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ঘোষণা দেবেন দলে দলে রাজপথে নামার। তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়াই নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে দেশকে পুনরায় সংকটে ঠেলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তার দাবি, স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন আবারও তীব্রতর করতে হবে।
নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার জানিয়েছেন, তাদের কর্মসূচিও সোমবার প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, দুর্নীতিবাজদের বিচার এবং জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিই থাকবে মূল এজেন্ডায়।
তবে যুগপৎ কর্মসূচি নিয়ে বিভক্ত অবস্থান দেখা যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) স্পষ্ট করেছে যে, পূর্ণ পিআর পদ্ধতির সাথে তারা একমত নয়, শুধু উচ্চকক্ষে এ প্রক্রিয়ার প্রয়োগে তারা সমর্থন করে। পাশাপাশি তারা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের পক্ষে মত দিয়েছে। অন্যদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, যুগপৎ আন্দোলন বা সমন্বিত কর্মসূচির বিষয়ে এখনো তারা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।