নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি

আপলোড সময় : ১৪-০৯-২০২৫ ০৮:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-০৯-২০২৫ ০৮:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন

বিভিন্ন জটিলতা ও শুল্ক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে টি-শার্ট, জগার ও স্লিপারের মতো স্বল্পমূল্যের পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ সময়ে রফতানি আয় দাঁড়ায় প্রায় ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু জুলাই মাসেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, রফতানির পরিমাণ ছিল ৭৩০ মিলিয়ন ডলার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) এর তথ্যে দেখা যায়, চীনের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করেছে। বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী জানান, এ সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগানো গেলে ভবিষ্যতে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। তবে প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনাম শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে, দেশটি এ সময়কালে ৯ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করেছে। যদিও বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হারে এগিয়ে—২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যেখানে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে শুল্ক জটিলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রফতানি কমেছে ২১ শতাংশ, আর ভারতও রয়েছে বাংলাদেশের পেছনে।

কম মূল্যের পণ্য রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখনো মার্কিন বাজারে অবস্থান ধরে রেখেছে। বিজিএমইএর পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলো এসব পণ্য রফতানিতে তেমন মনোযোগী নয়, ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই বাজার বাংলাদেশের হাতে রয়েছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে বার্ষিক রফতানি ৮ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই বাজারে রফতানি আয় হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। তবে এখানেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি শুল্ক ও প্রশাসনিক জটিলতা। ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের দাম সামান্য বেড়ে ১ দশমিক ১১ শতাংশ হলেও নানা প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়ে গেছে।

ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, এসব সমস্যা সমাধান করতে পারলে রফতানি আরও বাড়বে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, সরকারের সঙ্গে বিজিএমইএকে আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এনবিআর, বন্দর ও প্রণোদনা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে একটি বিশেষ সেল গঠন করলে তা পুরো খাতকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানি দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আগের অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]