
দরূদ পাঠ ইসলামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল হিসেবে বিবেচিত। কুরআন ও হাদিসে এর বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলতের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করো।” (সূরা আল-আহযাব, ৩৩:৫৬)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) দরূদের অপরিসীম মর্যাদা সম্পর্কে তাঁর উম্মতকে অবহিত করেছেন। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
“যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত নাজিল করেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার মর্যাদা দশ গুণ বৃদ্ধি করে দেন।” (মুসলিম, হাদিস ৪০৮)
আরেক হাদিসে এসেছে, “কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে আমার নিকটতম হবে সেই ব্যক্তি, যে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে।” (তিরমিজি, হাদিস ৪৮৪)
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরূদ পাঠের মাধ্যমে শুধু নবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসা প্রকাশই নয়, বরং এটি বান্দার জন্য রহমত, ক্ষমা ও মর্যাদা লাভের একটি অনন্য সুযোগ।
দরূদ পাঠ শুধু ইবাদতের অংশ নয়, বরং রহমত ও নেকি অর্জনের একটি মহামূল্যবান উপায়। প্রতিদিনের জীবনে এ আমল অন্তর্ভুক্ত করলে দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ লাভ সম্ভব।