
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ঘিরে ফল প্রকাশে অস্বাভাবিক বিলম্ব ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের ভূমিকার অভিযোগে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ক্যাম্পাসে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সিনেট ভবনের সামনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত জোট সমন্বিত শিক্ষার্থী পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ৩২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত ফলাফল ঘোষিত হয়নি। এমনকি তখনও ভোট গণনা সম্পূর্ণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা পরিকল্পিতভাবে ভোটগণনা স্থগিত রাখার চেষ্টা করছেন এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়া বানচাল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ কারণে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও তীব্র হচ্ছে।
নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শেষ মুহূর্তে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বামপন্থি নেতৃত্বাধীন প্যানেলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। তবে ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ (বাগছাস) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রশাসনিক ত্রুটির সমালোচনা করলেও নির্বাচনে অংশ নেন।
অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কয়েকজন শিক্ষক ছাত্রদলের বর্জনের পর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এর মধ্যে গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা রয়েছেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবিরোধী বিএনপিপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া নির্বাচনে অব্যবস্থাপনার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার। এসব ঘটনায় জাকসু নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনা আরও গভীর হচ্ছে।