
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন কেবল একটি সাধারণ নির্বাচন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণে একটি ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে মৌলিক সংস্কারসমূহ দ্রুত সম্পন্ন করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বাইরে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ম্যান্ডেটগুলোর একটি হলো সংস্কার বাস্তবায়ন। তাই নির্বাচন ও বিচারের মতোই জুলাই সনদের বিষয়টি সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব, রাজনৈতিক দলগুলোর সুপারিশ এবং ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটির উপস্থাপিত প্রস্তাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিশন সদস্যরা জানান, খুব শিগগিরই প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। বিষয়টি এগিয়ে নিতে আগামী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পুনরায় বৈঠকে বসবে কমিশন।
বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ড. আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও বৈঠকে অংশ নেন।