
কাতারের দোহায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতাদের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার ধরণে তিনি সন্তুষ্ট নন এবং ঘটনাটি গাজায় শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি পুরো পরিস্থিতি নিয়ে খুশি নই। এটা মোটেও ভালো পরিস্থিতি নয়। আমরা চাই বন্দিদের ফেরত আসুক, তবে এই ঘটনা যেভাবে ঘটেছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই।”
মার্কিন প্রশাসনের কয়েকজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, হামলার আগে প্রেসিডেন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি; বরং যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এ তথ্য পৌঁছে দেন। এরপরই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে কাতারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেন।
তবে আরেক কর্মকর্তা জানান, উইটকফ যখন কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। এর আগের দিনই তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এক উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, কিন্তু সেই বৈঠকেও আসন্ন হামলার কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
ঘটনাটি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটনের অসন্তোষ ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।