
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এ আর মিলন খানকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ৩৬’ হলে ৯১ জন ছাত্রীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল শাখা ছাত্রদল। কমিটির সদস্যরা একাধিকবার মিলনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব দেননি এবং ফোন বন্ধ করে দেন। ফলে তদন্তে প্রমাণিত হয়, উক্ত মন্তব্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২ সেপ্টেম্বর, যখন এক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করে মিলন খান ৯১ জন ছাত্রীকে ‘বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ আখ্যা দেন। ওই ছাত্রীদের হল প্রাধ্যক্ষ তলব করেছিল সময়মতো হলে প্রবেশ না করার কারণে। নোটিশটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে তা একপর্যায়ে প্রত্যাহার করে নেয় হল প্রশাসন। কিন্তু মিলনের মন্তব্যের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
পরে শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পাশাপাশি সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখতে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম-কানুন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে।
এই ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে।