গানের শিক্ষক নিয়োগে বিতর্ক: শায়খ আহমাদুল্লাহর প্রশ্ন, কাদের খুশি করা হচ্ছে?

আপলোড সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ১১:১১:৫৭ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ১১:১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গানের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বর্তমানে দেশের ৬৫ হাজার ৫০০-এর বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। গানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্ধারিত কোটার পরিমাণ ১৫ শতাংশ।
 
তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ-সহ সচেতন নাগরিকগণ। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এ দেশে কত শতাংশ মানুষ তাদের সন্তানকে গান শেখাতে চায়? আবার কতজন অভিভাবক চান, বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক থাকুক? বাস্তবে অধিকাংশ অভিভাবকই চান না, তাদের সন্তান স্কুলে গান শেখে। বরং প্রায় সবাই সন্তানের জন্য আলাদা ধর্মীয় শিক্ষক রাখেন অথবা মক্তবে পাঠান।
 
তাঁর মতে, সরকার যদি স্কুলে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করত, তাহলে অভিভাবকদের বাড়তি খরচ ও ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলত এবং শিক্ষার্থীদের সময়ও বাঁচত। অথচ শিক্ষার মান যেখানে প্রতিদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে গানের শিক্ষক নিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
 
বর্তমানে রাষ্ট্র প্রাথমিক শিক্ষায় প্রতি মাসে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও মানোন্নয়ন হচ্ছে না। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা জোরদার করা এখন জরুরি। অন্যথায় প্রাথমিক শিক্ষা অভিভাবকদের কাছে আস্থাহীন হয়ে পড়বে এবং কিশোর গ্যাংসহ সামাজিক অপরাধের ঝুঁকি বাড়বে।
 
শায়খ আহমাদুল্লাহর দাবি, “গণ-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে বাইরের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চিরাচরিত পথ থেকে বের হয়ে আসা দরকার।”

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]