
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে এই রায় ঘোষণা করেন।
২০০৪ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। বিচারিক আদালত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছিল। তবে গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সেই রায় বাতিল করে তারেক রহমান, বাবরসহ অন্য আসামিদের খালাস দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিলের আবেদন করে এবং চলতি বছরের ১ জুন তা মঞ্জুর হয়। এর ভিত্তিতে পৃথকভাবে আপিল করা হয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।
রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখা উচিত ছিল। অন্যদিকে আসামিপক্ষ হাইকোর্টের খালাসের রায়কে সঠিক বলে যুক্তি উপস্থাপন করে। আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয় ১৭ জুলাই এবং টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে (৩১ জুলাই, ১৯, ২০ ও ২১ আগস্ট) এ বিষয়ে বিতর্ক শোনা হয়। সব যুক্তি শোনার পর আদালত রায়ের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে এবং আজ তা ঘোষণা করা হলো।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু সাদাত মো. সায়েম ভূঞা ও সাদিয়া আফরিন। আসামিপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।