
কবে পালিত হবে (২০২৫ সালের তারিখ)?
বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী- দিনকে ঘিরে প্রচলিত ভুল ও কুসংস্কার-
১) আতশবাজি ও জন্ম মিছিল – অনেক জায়গায় গান-বাজনা, ঢোল-তবলা, আতশবাজি, আলোকসজ্জা করে “মহোৎসব” বানানো হয়। অথচ রাসূল (সা.) বা সাহাবারা কখনও এমন কিছু করেননি।
২) অতিরিক্ত সাজসজ্জা ও লোক দেখানো – বাড়িঘর, মসজিদ, গলিপথে বিলাসী আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়, যা ইবাদতের বদলে প্রদর্শনী হয়ে দাঁড়ায়।
৩) মিলাদ মাহফিলে বাড়াবাড়ি – কোরআন-হাদিসের আলোচনার বদলে শুধুই আবেগময় গল্প বা গানের আসরে রূপ নেয়।
৪) খাওয়াদাওয়া ও অপচয় – খাবারের নামে অতিরিক্ত খরচ, লোক দেখানো ভোজ বা বিলাসিতা, যা নবীজির সরল জীবনবোধের বিপরীত।
৫) ইবাদতের নির্দিষ্টীকরণ – অনেকে মনে করেন কেবল এদিন বিশেষ নামাজ, বিশেষ রোজা বা বিশেষ জিকির পড়তে হবে। অথচ রাসূল (সা.) কোনো দিনকেই শুধু জন্মোৎসব হিসেবে নির্দিষ্ট করেননি।
৬) কবর জিয়ারতে নতুন রীতি যোগ – কবরস্থানে গিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করা বা নবীর নামে কসম খাওয়া, যা বিদআতের অন্তর্ভুক্ত।
৭) নবীজির জন্মদিবসকে উৎসব মনে করা – ইসলাম কোনো জন্মদিন উদযাপনকে উৎসব হিসেবে প্রবর্তন করেনি। এটি খ্রিষ্টান বা অন্য ধর্মের অনুকরণে এসেছে বলে অনেক আলেম মনে করেন।
কী করা উচিত-
১) কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া – নবীজির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোরআন ও হাদিস পাঠ।
২) সীরাতুন্নবী আলোচনা – মহানবীর জীবন, দাওয়াত, শিক্ষা ও আদর্শের আলোকে সমাজকে গড়ে তোলার চেষ্টা।
৩)নাত ও মিলাদ মাহফিল – নবীজির প্রশংসায় কবিতা, গজল ও নাত পরিবেশন।
৪) দান ও সেবামূলক কাজ – দরিদ্রদের সাহায্য করা, এতিমখানা ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ।
৫) সমাজে ঐক্য বৃদ্ধি – শান্তি, সৌহার্দ্য ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।
পরিশেষে, এই দিনটি হোক শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং বাস্তব জীবনে নবীর আদর্শকে ধারণ করার অঙ্গীকার।