
দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার আগমনে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
এই সফরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান হাইকমিশনের আমন্ত্রণে ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপি, জামায়াত ও বিএনপির প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ভারতের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সার্ক কার্যকর করার উপায়, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আসন্ন নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় এসেছে। এনসিপির নেতা তাহের জানান, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সার্কের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয় করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। আগামী রোববার (২৪ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ, পাঁচ-ছয়টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে। এ সময় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি জানান, বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ায় পানিসংক্রান্ত সম্ভাব্য সংকট, যুদ্ধের ঝুঁকি, বাংলাদেশের নদীমাতৃক দেশ হিসেবে অভিজ্ঞতা, পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, দুই দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের সম্ভাবনা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে সমন্বয় হয়েছে। এনসিপি ও অন্যান্য নেতারা মনে করেন, সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, যা বৈঠকে প্রাসঙ্গিক আলোচনার অংশ ছিল।