
গাজ্জায় চলমান দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সম্প্রতি যা ঘোষণা করা হয়েছে, তা শাইমা আল-ওবাইদি, সেভ দ্য চিলড্রেনের সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজারের মতে, অবাক করার মতো নয়; বরং বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ। তিনি বলেন, “গাজ্জার শিশুরা আমাকে বলেছে, তারা চায় যেন তারা মারা যায়, যাতে জান্নাতে গিয়ে অন্তত খেতে পারে।”
বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে আল-ওবাইদি জানান, তিনি রমজান মাসে গাজ্জায় ছিলেন। ২ মার্চ হঠাৎ ত্রাণ প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সেই দিন বাজারে লেটুস পাতা পাওয়ায় শহরে অল্পখাটো আনন্দের ছোঁয়া ছিল; মানুষ আলোচনা করছিল কিভাবে ইফতারের জন্য সালাদ বানানো হবে।
কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায়। প্রোটিন এবং মাংসের সরবরাহ শেষ হয়ে যায়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাজা ফল এবং সবজি পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এক মাসের মধ্যেই ময়দাও শেষ হয়ে যায় এবং বাজারে যা কিছু পাওয়া যায়, তা স্বাভাবিক মূল্যের তিনগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে ঘাস, গাছের পাতা খাচ্ছে।
আল-ওবাইদি আরও বলেন, “এমন অবস্থা চলতে থাকলে গাজ্জা মানব শূন্য নগরীতে পরিণত হবে। এর জন্য শুধু হামাস বা ইসরাইল নয়, দায়ী সকল রাষ্ট্র যারা নীরবে এই হত্যাযজ্ঞ দেখেছে এবং প্রতিবাদ করেনি।”