
প্রবীণদের সেবাকে মানবকল্যাণের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে সমাজের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, যারা বয়সজনিত কারণে বা শারীরিক অক্ষমতায় চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে পারেন না, তাদের ঘরে বসেই সেবা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। সুস্থ ও সক্ষম প্রজন্মকে এই দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষ করে বাবা-মা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুরে প্রবীণদের জন্য আয়োজিত দিনব্যাপী ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সচিব এসব কথা বলেন। তিনি জানান, এলাকার কিছু পরিবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধের অভাব রয়েছে, যা প্রবীণদের জন্য বড় কষ্টের বিষয়। সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় কর্মরত নাটোরের সাংবাদিকরা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে সবসময় সচেতন। তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রবীণ সেবার বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সচিব বিশ্বাস প্রকাশ করেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
এ আয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক হাবিবুর রহমান, নাটোর জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী এই স্বাস্থ্যসেবায় গাইনি, মেডিসিন, হাড়-জোড়, কার্ডিওলোজি, চক্ষু, চর্ম ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা প্রায় ৫ শতাধিক রোগীকে সেবা দেন। এর মধ্যে ২ শতাধিক প্রবীণ নিবন্ধিত রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়।