
বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ঢেউয়ের কারণে চাঁদপুর সদরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার জেলে পল্লী এলাকায় বেশ কিছু ফসলি জমি, বসতভিটা ও স্থাপনা এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসনী উদ্দিন সরেজমিনে আনন্দবাজার জেলে পল্লীসহ মেঘনার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন এবং তাদের সমস্যার কথা শোনেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদীভাঙনের আতঙ্কে তারা প্রতিনিয়ত ভুগছেন এবং অনেকে ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
বাসিন্দাদের দাবি, অস্থায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নয়, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ছাড়া ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। স্থানীয় জসীম মেহেদী বলেন, বর্ষা এলেই নদী পাড়ের মানুষজন ভাঙনের ভয় নিয়ে রাত কাটান। আমাদের প্রত্যাশা—দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক আশ্বস্ত করেন যে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ও স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে এবং মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরল হক, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।