ইসলামে নিয়তের ফজিলত, গুরুত্ব জানেন কি?

আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৫ ১০:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৫ ১০:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন

নিয়ত অর্থ হলো—মনের দৃঢ় সংকল্প বা উদ্দেশ্য। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো ইবাদত বা কাজ শুরু করার আগে মনে স্থির করা যে আমি এটি একমাত্র আল্লাহর জন্য করছি, সেটিই নিয়ত।


ইসলামে নিয়তের গুরুত্ব-


রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
“কর্মসমূহ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষ যা নিয়ত করবে, তার ফল সে-ই পাবে।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ১; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৯০৭)

এটি ইসলামের অন্যতম মূলনীতি। কোনো কাজ বাহ্যিকভাবে যতই বড় হোক না কেন, নিয়ত যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য না হয়, তবে তার কোনো মূল্য নেই। আবার ছোট একটি কাজও যদি নিয়ত বিশুদ্ধ হয়, তবে তা আল্লাহর নিকট মহৎ আমল হিসেবে গৃহীত হয়।


নিয়তের ফজিলত-


১) সওয়াব বাড়িয়ে দেয়: ভালো নিয়ত করলে সামান্য আমলেও অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।

হাদিসে এসেছে: “যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজ করার নিয়ত করে কিন্তু তা করতে পারে না, তার জন্য একটি পূর্ণ সওয়াব লেখা হয়।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৯১; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩১)

২) দুনিয়ার কাজও ইবাদত হয়ে যায়: হালাল উপার্জন, পরিবারের ভরণ-পোষণ বা জ্ঞান অর্জন—এসব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।

৩) আমলকে বিশুদ্ধ রাখে: নিয়ত মানুষকে রিয়া (লোক দেখানো) ও অহংকার থেকে রক্ষা করে।


নিয়ত বিশুদ্ধ রাখার গুরুত্ব-


– নিয়ত ছাড়া কোনো ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়।
– নিয়ত ঠিক না হলে মানুষ সওয়াব হারিয়ে ফেলতে পারে।
– নিয়ত মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং আমলকে আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

ইসলামে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল এবং নিয়তই আমলকে মূল্যবান করে তোলে। নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে সাধারণ কাজও ইবাদতে পরিণত হয়, আবার নিয়ত খারাপ হলে বড় বড় ইবাদতও মূল্যহীন হয়ে যায়। তাই একজন মু’মিনের জন্য প্রয়োজন সর্বদা নিয়ত ঠিক রাখা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে কেন্দ্র করে কাজ করা।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]