
বিএনপি জানিয়েছে, তাদের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে যারা আস্থা প্রকাশ করবে, শুধুমাত্র তাদের সঙ্গেই সম্ভাব্য জোট গঠনে আগ্রহী দলটি। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে একাত্ম হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে নেতৃত্ব পর্যায়। বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতিতে তারা সংসদকে মেধাবী ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান।
রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষাপটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না গেলেও শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আস্থার বার্তা দিয়েছে বিএনপি। ইতিমধ্যে দলটি দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। দীর্ঘদিন দমন-নিপীড়নের পর মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার ধারাবাহিকতায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল হলে, দশম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। তবে তীব্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করলেও রাতের ভোটের অভিযোগ তোলে তারা। এর পরবর্তী ধাপেই ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে দলটি। তবে ওই বছর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয়।
দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বিএনপি ইতিমধ্যে নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা। একইসঙ্গে ৩১ দফার প্রতি সমর্থন জানানো রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে জোট গঠনে আগ্রহী দলটি। আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে সংসদকে শেখার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি। এজন্য প্রয়োজন হলে যুগপৎ আন্দোলনের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোকেও সঙ্গে নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রক্রিয়াগত প্রস্তুতি শুরু করেছে।