জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান: জাতিসংঘের প্রতিবেদন গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৫ ০৩:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৫ ০৩:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই প্রতিবেদনটি ‘জুলাই রেভুলেশন-২০২৪’ নামে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
আদালত মামলাটিকে চলমান মামলা হিসেবে ঘোষণা করে জানতে চান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জুলাই-আগস্টের গণহত্যা বিষয়ক প্রতিবেদনটি কেন সংরক্ষণ করা হবে না। এর আগে গত ৩ আগস্ট এ রায় ঘোষণার কথা থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে তা পিছিয়ে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়।
 
আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ জানান, দোষীদের বিচারের দাবিতে আগস্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। এরপর আদালত রুল জারি করলে সরকার পদক্ষেপ নেয়—ট্রাইব্যুনাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়, আইন সংশোধন হয় এবং তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রায় ১,৪০০ হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সহিংসতার বিবরণসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য উঠে আসে, যা আদালতের নজরে আসে।
 
আইনজীবীর মতে, প্রতিবেদনটি সংরক্ষণের তিনটি মৌলিক কারণ রয়েছে—ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সত্য জানা নিশ্চিত করা, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে দলিল আকারে সংরক্ষণ করা। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও এটিকে নথিভুক্ত করেছে বলে জানা গেছে।
 
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এবং ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। প্রতিবেদনটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে রিট আবেদনের সম্পূরক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]