ওসির বিরুদ্ধে সিলেটের শাহ আরেফিন টিলায় পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগ, নীরব প্রশাসন

আপলোড সময় : ২১-০৮-২০২৫ ১০:২৭:২১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২১-০৮-২০২৫ ১০:২৭:২১ পূর্বাহ্ন

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে গত এক বছরে শত কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংঘবদ্ধ চক্রের এ অবৈধ কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা এবং থানার শীর্ষ কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল। প্রতিদিন রাতেই শতাধিক ট্রাকে করে পাথর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, শুধু সাদাপাথর পর্যটন এলাকা নয়, থানার কাছাকাছি শাহ আরেফিন টিলাও একইভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আলম আদনান নিয়মিত অর্থ নিতেন এবং কেউ বাধা দিলে নিজেই ‘ডিল’ করতেন। তবে এ বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয়রা জানান, একসময় শামীম বাহিনী নামে পরিচিত প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী টিলার নিয়ন্ত্রণ নিত। আওয়ামী লীগ আমলে এ বাহিনীকে ভয় পেত সাধারণ মানুষ। তাদের বিরোধিতা করলে প্রাণনাশের ঝুঁকি ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে শাহ আরেফিন টিলাকে “মরা কঙ্কাল” বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শামীম বাহিনীর পাশাপাশি বসর কোম্পানি, ইয়াকুব, মনির, ফয়জুল, সেবুল, বাবুল ও ইব্রাহীমসহ অন্তত নয়জনের নেতৃত্বে বিভিন্ন গ্রুপ কোটি কোটি টাকার পাথর উত্তোলন করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় পরিসরে লুট সম্ভব হতো না।

তবে সাম্প্রতিক অভিযানের পর গত কয়েকদিন ধরে টিলা এলাকায় লুটপাট কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কিছু মেশিন সরিয়ে নেওয়া হলেও এখনও পাথরের স্তূপ রয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, চক্রের সদস্যরা দূর থেকে জায়গাটির ওপর নজর রাখছে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ওসি নিজেই সব পক্ষকে সুবিধা দিতেন এবং কেবল আর্থিক লাভকেই প্রাধান্য দিতেন। অন্যদিকে, শামীম বাহিনীর সময়ে সাংবাদিকদের প্রবেশও ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

এ বিষয়ে বুধবার (২০ আগস্ট) কোম্পানীগঞ্জে গিয়ে বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী বলেন, আগে সীমাবদ্ধতা থাকলেও এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সরকারি আশ্বাসে স্থানীয়রা কিছুটা আশাবাদী হলেও, বহুল আলোচিত এই পাথর লুটচক্র আবার সক্রিয় হবে কি না—সেই আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]