
ইরানের পশ্চিম, পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলের ছয়টি বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সোমবার (২৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় ইসরায়েল। এতে বলা হয়, দূর থেকে চালিত বিমান হামলায় অন্তত ১৫টি ইরানি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তেহরানের মেহরাবাদ, মাশহাদ ও দেজফুল বিমানবন্দরসহ ছয়টি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ হামলায় বিমানবন্দরের রানওয়ে, ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার, একটি জ্বালানিভর্তি বিমান এবং ইরানি বাহিনীর এফ-১৪, এফ-৫ এবং এএইচ-১ ধরনের বিমান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, “এই হামলার মাধ্যমে ইরানের সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন ও যুদ্ধপরিকল্পনা পরিচালনার ক্ষমতা ব্যাহত করা হয়েছে।”
এর আগে গত শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায় ইসরাইল, যার জবাবে ইরানও পাল্টা আঘাত হানে তেলআবিব লক্ষ্য করে। এরপর থেকেই উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার এই উত্তেজনাকর সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রও। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাতে সফলভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিল—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।
ইরানে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে ইতোমধ্যে চীন, রাশিয়া এবং পাকিস্তান শান্তি আহ্বান জানিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে এবং এটি সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: আল-জাজিরা, এক্স পোস্ট, আইডিএফ.