
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উদ্বোধন হলো গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসীর বহু কাঙ্ক্ষিত মওলানা ভাসানী সেতু। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর প্রান্তে সেতুটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উদ্বোধনের পর থেকেই সেতুটি দুই জেলার মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় দুই প্রান্তের মানুষ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। অনেকের মতে, এই সেতু কেবল যাতায়াত ব্যবস্থাই সহজ করবে না, বরং দুই জেলার মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য ও সামগ্রিক উন্নয়নের নতুন দ্বার খুলে দেবে। স্থানীয় শিক্ষক তৌফিক ইসলাম বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক। দুর্ভোগের অবসান হলো, নতুন সম্ভাবনার সূচনা হলো।”
১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের মওলানা ভাসানী সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্মিত দেশের প্রথম বৃহৎ সেতু। সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চীনা প্রতিষ্ঠান পিসি গার্ডার এটি নির্মাণ করেছে। সেতুটিতে রয়েছে ৩১টি স্প্যান, প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার নদী শাসন এবং দুই পাশে ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।
সেতুটি চালুর ফলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে রাজধানীতে যাতায়াতের দূরত্ব কমবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার। এর মাধ্যমে দুই পাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১৪ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। প্রায় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা করল।