
নির্বাচনী নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২’ সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলের আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এর ফলে সেনাবাহিনী নির্বাচনী অপরাধে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন, যা দীর্ঘ ১৬ বছর পর পুনর্বহাল হচ্ছে। নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এই পদক্ষেপ ভোটারদের জন্য স্বস্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১১ ও ২০১৪ সালে বিভিন্ন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, সশস্ত্র বাহিনী উপস্থিত থাকলে নির্বাচন পরিচালনা আরও স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, দেশের বেশির ভাগ ভোটার সশস্ত্র বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা বিশ্বাস করে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। সংশোধনী অনুমোদন হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে।