বাংলাদেশে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন নাম, খরচ, মালিকানা ও আমানতকারীদের সুরক্ষা পরিকল্পনা

আপলোড সময় : ২০-০৮-২০২৫ ০২:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-০৮-২০২৫ ০২:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের বিতর্কিত পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংক—সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক—একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোর সম্মতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিললেই চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানায়, সদ্য প্রণীত ব্যাংক অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী ব্যাংকগুলো প্রথমে সরকার অধিগ্রহণ করবে, এরপর একীভূতকরণের কাজ শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা লাগতে পারে। সরকার চলতি বাজেটে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে, পাশাপাশি বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার (২৪,৫০০ কোটি টাকা) সহায়তার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।

একীভূত ব্যাংকের সম্ভাব্য নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনায় থাকা দুটি নাম হলো “ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক” এবং “আল ফাতাহ ইসলামী ব্যাংক”। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অক্টোবরের মধ্যে নেওয়া হতে পারে।

প্রাথমিকভাবে নতুন ব্যাংকটি সরকারি মালিকানায় চলবে। পরবর্তী ধাপে বেসরকারি খাত ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ধীরে ধীরে মালিকানা হস্তান্তর করা হবে।

একীভূতকরণের পর ব্যাংকের জন্য নতুন প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হবে। মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবন কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাতের উন্নয়নে কাজ করবে, অঞ্চলভিত্তিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, শতভাগ আমানতকারীর অর্থ সুরক্ষিত থাকবে। ক্ষুদ্র আমানতকারীরা পূর্ণ অর্থ ফেরত পাবেন, তবে বৃহৎ আমানতকারীদের নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। প্রয়োজনে তাদের আমানতের বিপরীতে ব্যাংকের শেয়ার দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, একীভূত প্রক্রিয়ায় কোনো কর্মীর চাকরি যাবে না।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিশ্বে ব্যাংক একীভূতকরণের উদাহরণ থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কারণ এটি ঘটছে ব্যাপক লুটপাটের পর, যা আগে কোথাও দেখা যায়নি। ফলে এর কার্যকারিতা প্রমাণে সময় লাগবে। তবে তিনি আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের সুরক্ষার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন মনে করছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার বিকল্প নেই, এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এটি নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]