
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনীর আক্রমণে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। একই সময়ে অবরোধ ও খাদ্য সংকটের কারণে অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১১ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান খাদ্য ঘাটতির কারণে এখন পর্যন্ত ২৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০৮ জন শিশু। শনিবার রাতে গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত সাতজনকে হত্যা করে ইসরাইলি সেনারা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, গাজায় অন্তত দশ লাখ নারী ও কিশোরী মারাত্মক খাদ্য সংকটে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা এমএসএফ জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ত্রাণকেন্দ্রগুলো ‘মৃত্যুর এলাকায়’ পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২৭ মে থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ জন ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, দৈনিক এক হাজার ট্রাক ত্রাণের প্রয়োজন হলেও প্রবেশ করছে মাত্র ১০০টি ট্রাক। অধিকাংশ সহায়তা সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। এদিকে ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, ক্ষুধার কারণে নারীরা ও শিশু-কিশোরীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই খাবার ও পানির সন্ধানে বাইরে বের হচ্ছেন। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, যা বাড়তে থাকা আহতদের সেবা দিতে অক্ষম।
অন্যদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন নিয়ে ইসরাইল ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে আলোচনার খবর ছড়ালেও, হামাস ও ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। দক্ষিণ সুদানও এ প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গাজার নাগরিকদের ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, সীমিত কিছু মেডিকেল ও মানবিক ভিসার আবেদন সংক্রান্ত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।