
রাজধানী ঢাকায় টানা বৃষ্টির প্রভাবে বায়ুদূষণের মাত্রা কিছুটা কমেছে। রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে সুইস গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার প্রকাশিত বায়ুমানের সূচক (AQI) অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ছিল ৬৬, যা ‘মাঝারি’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। এই সূচকে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখন ৩৫তম। যদিও পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো, সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য এটি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হচ্ছে।
একই সময়ে বৈশ্বিক বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যেখানে সূচক ছিল ১৬৮। এর পরের অবস্থানে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা (১৬০), কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা (১৫৮), ইরাকের বাগদাদ (১৫৭) এবং বাহরাইনের মানামা (১৩৫)।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার দূষণের প্রধান কারণ বাতাসে অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা। এসব কণা দীর্ঘমেয়াদে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ ও ক্যানসারের মতো জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, একিউআই সূচক শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো ধরা হয়, ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর, আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা সরাসরি ‘অস্বাস্থ্যকর’। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, আর ৩০১-এর ওপরে হলে তা গুরুতর ঝুঁকিপূর্ণ।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়, শুধু জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুসারে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে প্রতিবছর প্রায় ৬৭ লাখ মানুষ প্রাণ হারান।