শিক্ষায় সার্টিফিকেট নির্ভরতা কাটিয়ে মানোন্নয়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

আপলোড সময় : ১৭-০৮-২০২৫ ০১:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৭-০৮-২০২৫ ০১:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও বিশ্বমানের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের চেয়ে সার্টিফিকেট অর্জনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, ফলে প্রকৃত শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মেধাবৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি শিক্ষাব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।
 

শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি বিএআরসি অডিটরিয়ামে এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) আয়োজিত ‘নিড বেসড এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: প্রবলেমস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক সেমিনারে এ মতামত উঠে আসে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
 

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ, গবেষক ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন।
 

ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. ফায়েজ বলেন, কর্মমুখী ও বিশেষায়িত শিক্ষা সময়ের দাবি। তিনি মনে করেন, তরুণদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা চালু করা জরুরি। কারিগরি শিক্ষাকে অবজ্ঞা না করে এর প্রতি সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে।
 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আমানুল্লাহ জানান, অনেক কলেজে শিক্ষকদের ট্রেনিং ও এমপিও সুবিধা নেই। স্বল্প বেতনে দীর্ঘদিন ধরে তারা কাজ করলেও সম্প্রতি সাড়ে তিন হাজার শিক্ষককে এমপিওর আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস সংস্কারের কাজ চলছে এবং ইংরেজি ও আইসিটি এখন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]