
আলাস্কার অ্যাঙ্করেজে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে ট্রাম্প একে ‘ফলপ্রসূ’ আখ্যা দিলেও ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোনো চুক্তি হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে দুই নেতা একমত হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনো অগ্রগতি সীমিত। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সম্মেলনে ট্রাম্প ও পুতিন দুজনই বক্তব্য রাখলেও সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেননি।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত বন্ধে কোনো অর্থবহ পদক্ষেপ হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। পুতিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন যে, ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই আলোচনা থেকে ইতিবাচক সাড়া দেবে।
অ্যাঙ্করেজের বিমানঘাঁটিতে পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে অংশ নেন দুই নেতা। ২০১৯ সালের পর এটিই তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। কক্ষের পেছনে ঝোলানো ব্যানারে লেখা ছিল—‘শান্তির খোঁজে’।
ট্রাম্প বলেন, তার প্রধান লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং পুতিনের কাছ থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি আদায়। তবে জেলেন্সকি বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন না। কিয়েভ ও ইউরোপীয় মিত্রদের আশঙ্কা, যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূমি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
আলাস্কায় যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, সে বিষয়টি সম্পূর্ণ ইউক্রেনের ওপর নির্ভর করবে।