
দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে পাইকারি স্তরে। তিন দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে কেজিপ্রতি দাম অন্তত ১০ টাকা কমেছে। তবে খুচরা বাজারে এখনও এর প্রভাব পড়েনি। ফলে ভোক্তাদের বাড়তি দামেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৩ শতাংশের বেশি। বাজারে সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট তৈরির অভিযোগও উঠেছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতিবছর এ সময় আড়তদার, ব্যাপারী ও কমিশন এজেন্টরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেন। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরাই মূলত দাম নির্ধারণে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ তার।
এ পরিস্থিতিতে গত ১২ আগস্ট পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে এবং যে দেশ থেকে সস্তায় পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে। ঘোষণার পরই পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করে। ঢাকার শ্যামবাজারে পেঁয়াজের দাম তিন দিন আগের ৭৬ টাকা থেকে নেমে বর্তমানে ৬৫-৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কার্যকর হলে দাম আরও কমবে।
তবে খুচরা বাজারে এখনো ভোক্তাদের কেজিপ্রতি ৮৫-৯০ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা আগের বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ এখনও বিক্রি করছেন। ফলে দাম কমাতে গেলে লোকসান গুনতে হবে। তবে আমদানির পেঁয়াজ বাজারে এলে খুচরায়ও দ্রুত দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মাঠ পর্যায়ে অভিযান শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক আফরোজা রহমান জানিয়েছেন, সারাদেশে তদারকি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে যাতে দাম স্থিতিশীল থাকে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।