
চীন তরুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের জন্য নতুন ধরনের বিশেষ ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে, যা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘কে ভিসা’ নামে এই উদ্যোগ আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) চীনের স্টেট কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত জানায় বলে সিসিটিভি ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে।
নতুন ভিসাটি মূলত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত—এসটিইএম খাতের মেধাবী তরুণদের আকর্ষণ করতে চালু করা হচ্ছে। আবেদনকারীদের দেশি বা বিদেশি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হতে হবে অথবা ওই প্রতিষ্ঠানে গবেষণামূলক কাজে যুক্ত থাকতে হবে। এর অন্যতম সুবিধা হলো—অন্য ভিসার মতো এখানে কোনো চীনা নিয়োগকর্তা বা স্পনসর প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। শুধু বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্ম-অভিজ্ঞতার নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলেই আবেদন করা যাবে। যদিও বয়সসীমা এখনো প্রকাশ করা হয়নি, ধারণা করা হচ্ছে এটি ৪০ থেকে ৪৫ বছরের কম বয়সিদের জন্য হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য চীনা দূতাবাস ও কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বর্তমানে চীনে ১২ ধরনের সাধারণ ভিসা চালু আছে, তবে ‘কে ভিসা’ তুলনামূলক বেশি সুবিধাজনক হবে। এর আওতায় ভিসাধারীরা একাধিকবার চীনে প্রবেশের সুযোগ পাবেন এবং মেয়াদ ও অবস্থানের সময়সীমাও দীর্ঘ হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনকে প্রযুক্তি পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ। এরই মধ্যে বেইজিং ‘ট্যালেন্টেড ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম’-এর মতো কর্মসূচি চালু করেছে, যা বিদেশি মেধাবীদের আকর্ষণে কাজ করছে।