
আগামীকাল আলাস্কায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাতের পটভূমিতে নজর কেড়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির দিক-নির্দেশনার অবস্থা। নতুন করে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অনেক অভিজ্ঞ কূটনীতিকরা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র সম্পর্কিত পদগুলো শূন্য রয়েছে। এছাড়া ফেডারেল কর্মীসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় বিদেশ নীতি পরিচালনায় বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে ‘মস্কো আলোচনা’ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্টিভ উইটকফ নামে একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সহযোগীকে, যিনি কোনও বৈদেশিক নীতি সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা ছাড়াই এই দায়িত্ব পালন করছেন। এই ধরনের নিয়োগ ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনে পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের অভাব ও রাজনৈতিক আনুগত্যের প্রাধান্য বেড়েছে। এর ফলশ্রুতিতে, ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক পেশাদারদের অংশগ্রহণ কমে গিয়েছে এবং দেশের বৈদেশিক সম্পর্ক পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
মূলত, ট্রাম্প প্রশাসনের এই উপায় ও সিদ্ধান্তগুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সক্ষমতা ও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অভিজ্ঞতা বিহীন ব্যক্তিদের দায়িত্বসাপেক্ষে রাখা এবং কর্মীসংখ্যার হ্রাস দেশের দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক স্বার্থের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
সোর্স: ফিনান্সিয়াল টাইমস