ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজেকে ‘ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিশনের অংশ’ হিসেবে অভিহিত করে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারনার প্রতি তাদের গভীর ঐক্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তার কাজ ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য প্রজন্মের মিশনের অংশ এবং ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। এই দৃঢ় অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে নীল নদ থেকে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত বিস্তৃত এই সম্প্রসারিত রাষ্ট্র ধারণাটি মিশর, জর্ডানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর তীব্র নিন্দার মুখে পতিত হয়েছে।
‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণাটি ঐতিহাসিক ও আধুনিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে প্রভাব বিস্তার ও অধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচিত হয়। এই বিস্তৃত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত যেখানে মিশর, জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন, ইরাক এবং সৌদি আরবের অংশ রয়েছে। নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎকারে এই ধারণার প্রতি নিশ্চিত সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য চ্যালেঞ্জ স্বরূপ।
এই বক্তব্য ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ব্যাপক গোলযোগ তৈরি করেছে। নেতানিয়াহুর এমন অবস্থান দেশটির জাতীয়তাবাদী নীতির প্রমাণস্বরূপ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক জটিলতর করার সম্ভাবনা বহন করে। বিশেষ করে মিশর ও জর্ডান ইসরায়েলের এই বিস্তৃত রাষ্ট্র গঠনের ধারণাকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করে কঠোর নিন্দা স্বরূপ বিবৃতি প্রদান করেছে। তাদের বক্তব্য, এই ধরনের আঞ্চলিক দাবী সন্ত্রাস ও অসহিষ্ণুতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।
মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান সংকটপূর্ণ অবস্থায় এই ধরনের ঘোষণার প্রভাবের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং কূটনৈতিক মহলের নজর দলিলিত। এই ঘটনার ফলাফল ভবিষ্যতে অঞ্চলের রাজনৈতিক বিন্যাস ও শান্তি প্রক্রিয়ার সূচকে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।