
বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি সৌদি আরবভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটি)। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, অপারেশন শুরুর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানা জটিলতা ও প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়েছে, যা কাঙ্ক্ষিত কার্যক্ষমতা অর্জনে বাধা সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে চারগুণ বাড়াতে প্রযুক্তি, বেস্ট প্র্যাকটিস ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের চার নম্বর গেটে ‘শিপিং ও লজিস্টিকস অনলাইন ডেস্ক’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিডা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ জানান, আরএসজিটি অন্যান্য দেশে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেও বাংলাদেশে কার্যক্রমে একাধিক ধাপ আটকে যাওয়ায় অপারেশন ব্যাহত হয়েছে। টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে প্রত্যাশিত ভলিউম অর্জন সম্ভব হয়নি। তবে তাদের অর্থায়ন কাঠামো নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই, কারণ ব্যাংকিং আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
সফটওয়্যার সেবার উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল অটোমেশন সময় ও খরচ উভয়ই কমাবে, পাশাপাশি হয়রানি ও দুর্নীতি হ্রাসে সহায়তা করবে। আগে যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কয়েক দিন লাগত, এখন তা অনলাইনে তাৎক্ষণিকভাবে করা যাবে।
বিডা চেয়ারম্যান আরও জানান, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড (সিডিডিএল) ইতিমধ্যে দেশীয় অপারেটর হিসেবে ভালো উদাহরণ তৈরি করেছে। আইএফসির রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১.৯ মিলিয়ন টিইইউস পর্যন্ত পরিচালনা সম্ভব, যা সঠিক প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করলে আরও বাড়ানো যাবে। বছরের শেষ নাগাদ এনসিটি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনালের জন্য প্রথম অপারেটর নিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে বন্দর পরিচালনায় সেরা অপারেটর নিশ্চিত করা জরুরি। বর্তমান সংস্কার কার্যক্রম শেষ হলে দুর্নীতি ও হয়রানি কমে আসবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।