
সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশিরে চলমান সংঘাত ও অবরোধের ফলে তীব্র অপুষ্টির কারণে ৩ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে কমপক্ষে ৬৩ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। সুদানের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকা দীর্ঘ এক বছর ধরে অবরুদ্ধ থাকার কারণে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা মারাত্মকভাবে শ্লথ হয়ে পড়েছে, যা মানবিক সংকটকে আরও গভীরতর করে তুলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কলেরা ও অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার বিষয়ে সতর্ক করছে।
সুদানে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ এর মধ্যে সংঘর্ষ চলার ফলে কোটি অধিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দারফুর উপত্যকা মারাত্মক প্রচণ্ড অপুষ্টির কবলে পড়েছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, দারফুর অঞ্চলে শিশুদের অপুষ্টির হার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং এ বছর দেশের পাঁচটি দারফুর রাজ্যে অপুষ্টির ঘটনা ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এল-ফাশারের মতো প্রধান শহরগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সংঘাত তীব্র হওয়ায় হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গেছে।