প্রেস রিলিজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস বাতিলের আল্টিমেটাম

আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৫ ১১:২২:১২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৮-২০২৫ ০২:২৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনে শিক্ষার্থীদের আপত্তি ও দাবীর প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ভ্রুক্ষেপ না করায় এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আজ ১০ আগস্ট ২০২৫ রোববার বিকেল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রান্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
 
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত সৈরাচারের আমলে আমরা দেখেছি- বিভিন্ন এনজিওর ফান্ডিংয়ে স্কুল সিলেবাসে শরীফ-শরীফার গল্প ঢুকিয়ে বাচ্চাদের মগজে ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতাকে বৈধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। 
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের ওয়েবসাইটে এলজিবিটিকিউ/সমকামিতাকে কথিত অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া এবং সেটাকে প্রমোট করার এজেন্ডার কথা বলা হয়েছে। 
 
অতএব, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে থাকলে শরীফ-শরীফার গল্প শুধু স্কুলে নয়, দেশের সকল পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে চলে আসবে! বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘সমকামী বিদ্যালয়’ এ পরিণত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে এলজিবিটিকিউ বা সমকামিতার অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। ফলে অঙ্গহানির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন, চিন্তা-ভাবনা ও মানসিকতায় বিকৃতি প্রোকট আকার ধারণ করবে শিক্ষার্থীদের মাঝে! অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের মানসিক বিকৃতি ও অনৈতিকতা দেখে বেদিশা হয়ে যাবে! পারিবারিক কাঠামো নষ্ট হয়ে সামাজিক অবক্ষয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে যাবে! 
শুধু তাই না, দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের কাযক্রম চলমান থাকলে পুনরায় কোটা প্রথা ফিরে আসবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চাকুরী পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার/সমকামী কোটার প্রচলন করা হবে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মসজিদে ‘সমকামী ইমাম’ নামে নতুন কোটারও বন্দোবস্ত করা হবে!  
 
এছাড়া, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের কাযক্রম দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার উপর আঘাত হানবে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল হবে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষাভাবে মদদ দেয়া হবে। মূল্যবোধ নষ্ট হবে। সমকামিতার মত জঘন্য বিকৃতি ও অপরাধকে বৈধতা দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আক্বীদা-বিশ্বাস তথা ইমান হারিয়ে বেইমান করা হবে! পতিতাবৃত্তির নামে নারী নিপীড়ন ও নারী পাচারকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা হরণ হবে। এককথায়, দেশের মানুষের সাথে এক ধরণের আদর্শিক কনফ্লিক্ট (সংঘাত) তৈরি হয়ে দেশে গৃহযুদ্ধের মত অবস্থা তৈরী হবে!
অন্যদিকে, ধর্ষক ও খুনীদের, বিশেষ করে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের কোনো ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট (মৃত্যুদণ্ড) হবে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এখানে বাধা দিবে। এসব তাদের এজেন্ডা।
 
অতএব, কোনো অবস্থাতেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাযালয়ের অফিস বাংলাদেশে থাকতে পারে না। সরকারকে দেশের সার্বভৌমত্ব, মূল্যবোধ ও গৃহযুদ্ধের হাত থেকে দেশকে রক্ষার স্বার্থে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাযালয়ের অফিসের অনুমোদন বাতিল করতে হবে।  
 
আমরা একাধিকবার সরকারকে এই ব্যাপারে অনুরোধ জানালেও সরকার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। 
অতএব, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি! সরকার যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাতিল না করে তাহলে দেশ ও দেশের শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।
 
বার্তা প্রেরক- 
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তারিখ: ১০ আগস্ট, ২০২৫ (রোববার)।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]