রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি

আপলোড সময় : ০৯-০৮-২০২৫ ০৭:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৮-২০২৫ ০৮:৩৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

আরাকান থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি কমিটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রাখাইনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং এর রাজনৈতিক শাখা ‘ইউনাইটেড আরাকান অ্যাসোসিয়েশন’-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।
 

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কমিটি জানায়, আরাকান আর্মি পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে হত্যা, শিরশ্ছেদ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, অপহরণ, নির্যাতন, শিশুদের জোর করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ, সম্পদ লুট, কবরস্থান ধ্বংস এবং জোরপূর্বক শ্রম আদায়। কমিটির অভিযোগ, এসব কর্মকাণ্ড রোহিঙ্গাদের আতঙ্কিত ও কোনঠাসা করে রাখার কৌশল, যা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অতীত গণহত্যার পুনরাবৃত্তি।
 

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, আরাকান আর্মিকে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট’-এর আওতায় বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন অথবা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪-এর আওতায় ‘বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করতে। কমিটির মতে, এ গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
 

তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছেও এসব অপরাধের অবিলম্বে ও আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর আহ্বান জানিয়েছে এবং তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে রাখাইনে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া এবং লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ করেছে।
 

কমিটির হিসাবে, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমারের ভেতরে এখনও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে, যাদের ত্রাণ সহায়তা নেই এবং জীবনযাত্রার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘বিচার বিলম্বিত হওয়া মানে বিচার অস্বীকার করা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, এসব অপরাধ বন্ধ করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও নির্ভয়ে জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
 

মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটসের সাম্প্রতিক এক তদন্তে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আটক, নির্যাতন, হত্যা ও শিরশ্ছেদসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গোষ্ঠীটি বৈষম্য, লুটপাট, আটক, জোরপূর্বক নিয়োগ ও শ্রম আদায়ের মতো গুরুতর অপরাধ চালিয়েছে।

সূত্র: এএনএ

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]