
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শুক্রবার গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই গৃহীত নিষেধাজ্ঞার নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে নতুন কমিটি ঘোষণা করলে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে এবং রাত ১টার পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
উপাচার্য ঘোষণা দেন, সদ্য ঘোষিত ছাত্রদল কমিটি নিয়ে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে হলে রাজনীতির সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন। তারা ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন—ছাত্রদল কেন কমিটি ঘোষণা করেছে, উপাচার্যকে তার জবাব দিতে হবে।
- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে সক্রিয় গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক এলাকায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে।
- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বাতিল করতে হবে।
- হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।
- দ্রুত ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও উপাচার্যের ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।