
গত বছর (২০২৪ সালে) জাপানে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬১ জন, যা ১৮৯৯ সালে তথ্য রেকর্ড শুরুর পর সর্বনিম্ন। অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর দেশটির মোট জনসংখ্যা ৯ লাখ ৮ হাজার ৫৭৪ জন কমেছে, যা শতকরা হিসেবে ০.৭৫% হ্রাস। এটি ১৯৬৮ সালে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান চালুর পর সবচেয়ে বড় হ্রাসের রেকর্ড।
ডেমোগ্রাফি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানে জন্মহার হ্রাস এবং জনসংখ্যার দ্রুত বার্ধক্যজনিত কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। এটি অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক কাঠামোর ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এই পরিস্থিতিকে ‘নীরব জরুরি অবস্থা’ হিসেবে উল্লেখ করে জন্মহার বাড়াতে নমনীয় কর্মঘণ্টা, মাতৃত্ব সুবিধা এবং বিনামূল্যে ডে কেয়ার সেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিক এখন মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত কমে এখন ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, দেশটিতে বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা বেড়েছে রেকর্ড হারে, যা ২০১৩ সাল থেকে পরিসংখ্যান অনুসারে এ বছরের সর্বোচ্চ। তবে এ প্রবণতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিবাসনবিরোধী মনোভাবও বেড়েছে। 'জাপানিজ ফার্স্ট' স্লোগানে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যারা দাবি করছে বিদেশিরা স্থানীয়দের তুলনায় বেশি কল্যাণ সুবিধা পাচ্ছেন।