ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এক্সের আইনি পদক্ষেপ

আপলোড সময় : ০৬-০৮-২০২৫ ০৯:৫০:০৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৬-০৮-২০২৫ ১১:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন
ভারতের ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নীতির বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে এলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)। এক্স-এর দাবি, সরকারের অতিরিক্ত কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের কারণে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এক্স চলতি বছরের মার্চে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি মামলা করে। মামলায় ২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রে শাসক দলের এক নেতাকে ‘নির্বোধ’ বলা পোস্টসহ বেশ কয়েকটি সমালোচনামূলক কনটেন্ট অপসারণের সরকারি নির্দেশনার বিরোধিতা করা হয়।

২০২৩ সালে ভারতের কেন্দ্র সরকার একটি নির্দেশনায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও রাজ্য পুলিশের হাতে সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট মুছে ফেলার ক্ষমতা দেয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ‘সহযোগ’ নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করে, যেখানে সরাসরি কনটেন্ট অপসারণের আদেশ পাঠানো সম্ভব হয়। তবে এক্স এই উদ্যোগকে ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ আখ্যা দিয়ে তাতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

আদালতে দাখিলকৃত নথিতে এক্স দাবি করেছে, সরকারের অনেক নির্দেশনা ছিল ব্যঙ্গচিত্র, সমালোচনামূলক প্রতিবেদন ও রাজনৈতিক বিদ্রূপ মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী।

সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তিতে বলা হয়েছে, এক্স-এ ভুল তথ্য, ঘৃণামূলক বক্তব্য ও অবৈধ কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ১,৪০০টি কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার ৭০ শতাংশই তাদের পক্ষ থেকে এসেছে।

মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। এ বিষয়ে সরকার, মেটা এবং গুগল কোনো মন্তব্য করেনি।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]